ঢাকা,রোববার, ১৯ মে ২০২৪

অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী ভোটারের

চকরিয়ায় প্রতীক পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আজ ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ছিলো প্রতীক বরাদ্দের দিন। এদিন সকাল থেকেই প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নেমে পড়েছেন পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। আজ নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর পুরোপুরি নির্বাচনী আমেজ তৈরী হয়েছে পৌরসদর জুড়ে । আগামী ১১ এপ্রিল কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্টিত হবে।

পৌর এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, স্ব-স্ব প্রার্থীরা তাদের নেতা-কর্মীসহ রাস্তায় নেমে এসে তুমুল করতালি ও স্লোগানে মেতে উঠেছেন। কেউ কেউ ভোটারদের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করছেন। কোলাকুলি আর কুশল বিনিময়ের অন্য রকম এক দৃশ্য চোখে পড়ল সেখানে। কোন কোন প্রার্থী মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করছেন আবার হিন্দু প্রার্থীরা মন্দির থেকে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছেন।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে দেখা হয় আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরীর সাথে। নির্বাচন কার্যালয় থেকে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সাথে করমর্দন করে কুশল বিনিময় করেন। এসময় নেতা-কর্মী-সমর্থকরাও তাকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানান।

নির্বাচনী কার্যালয় থেকে প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াবুল হক নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনি দোয়া চান।

এ সময় জিয়াবুল হক বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের পাল্লা তাঁর দিকে। এসময় তিনি দলবলসহ নারকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েন।

এসময় দেখা হয় ১নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যবসায়ী নেতা এম.নুরুস শফির সাথে। তিনি টেবিল ল্যাম্প প্রতীক পেয়ে তার শুভাকাঙ্খীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। এসময় তার সাথে থাকা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল শুরু করে এবং নিজ এলাকার দিকে রওয়ানা হন।

চকরিয়া পৌরসভার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। আর নয়টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা সহ মোট ৬৮ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে যাতে কোন ধরনের সহিংসতর সৃষ্টি না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট থাকবে। আশা করছি সকলের সহযোগিতায় সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

বর্তমানে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা স্ব স্ব নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের সাথে অবিরাম কৌশল বিনিময় করছে। অনেকে উঠান বৈঠকের মধ্যদিয়ে নিজ নিজ পক্ষে সমর্থন আদায় করলে ও আসল লড়াই হবে ১১ এপ্রিল ভোট গ্রহনের দিনে।

ইতিমধ্যে একজন মেয়র প্রার্থী তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইম লাইনে লিখেছেন, চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনকে ঘিরে অস্ত্রধারীরা অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার করে চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনকে বিশৃংখলার দিকে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করতে পারে।এ জন্য থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন ।

আসন্ন চকরিয়া পৌরসভার এ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষ থেকে কোন প্রার্থী মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার কারণে নিজেদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি ও নির্বাচনকে উৎসব মূখের পরিবেশ ফিরে আনতে অনেকটা বেগ পেতে হতে পারে।

স্থানীয় সচেতন মহল দাবী করেন, এ নির্বাচনকে ঘিরে ১ থেকে ৯ নং ওয়ার্ডে অবৈধ অস্ত্রধারী, দাগী আসামী, পলাতক আসামী, ইয়াবা সিন্ডিকেট, কিশোর গ্যাংসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১১ এপ্রিল চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে প্রথম বারের মতো ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট অনুষ্টিত হবে। এই নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ৪৮ হাজার ৭২৪ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ২৫ হাজার ৮৯৯ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ২২ হাজার ৮২৫জন।

 

পাঠকের মতামত: